যদি নারীর স্বামী একাধিক বিয়ে করে তাহলে কি সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স ইসলামে? উত্তর হল, না। শরিয়া অনুসারে বহুবিবাহ বৈধ। তাহলে ইসলামের সিভিল ল যদি শরিয়া মতে বিয়ে হয় তবে তো তাকে সেই সব নিয়মকানুন মেনে চলতেই হবে। তাই কোন অ্যাক্ট এ বিয়ে হচ্ছে সেটা জানা খুব জরুরি দরকার। অনুসারে এই ক্ষেত্রে নারীর অধিকারের কোনো প্রটেকশন নেই।
যদি স্বামী ট্রিপল তালাক, তালাক-এ বিদ্যাত, দিয়ে আবার হালালা করতে বলে, তবে কি নারীর অধিকার প্রটেকশন আছে ইসলামে? উত্তর হল, না।
যদি কোনো নারীর কন্যা সন্তান হয়, এবং ইসলাম স্বামীর পরিবার সেই মেয়েকে 14 বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়, তবে সেই মেয়ের কি কোনো আইনি প্রটেকশন আছে? উত্তর হলো, নেই। কারণ ইসলামে puberty হল বিয়ের বয়স, এবং কোনও মেয়ের যদি 13 বছর বয়সে puberty আসে তবে তার বিবাহ 13 বছর বয়সেও আইনত বৈধ। এর অর্থ ১৮ হবার আগেই কোনও অভিভাবক মেয়ের বিয়ে দিলে শরিয়াহ মতে সেটি বৈধ। কোনও শাস্তি নেই।
আরেকটা কথা তাৎক্ষণিক তিন তালাক রদ হয়েছে ভারতে। যারা মনে করছেন পুরো তালাকটাই তুলে দেওয়া হয়েছে সেটা ভুল। ৩ মাসে তিন তালাকের আইন শরিয়াহ অনুসারে সেটি বহাল আছে।
ইসলামে বিবাহিতা মেয়েদের সিভিল-এ প্রটেকশন নেই। মানুষের চরিত্র বদলাতে দু’দিন লাগে না, তাই ছেলে ভালো না মন্দ বিষয় নয়, আর মানুষ কে চেনাও দায়। কে কখন বদলে যায় বোঝা বড়ো দায়। বিষয় হল যেই ধর্মের ভিত্তিতে সিভিল ল-এ নারীর অধিকার protected আছে সেটা দেখে বিয়ে করায় ভালো। যদি শরিয়া মতে বিয়ে হয় তবে তো তাকে সেই সব নিয়মকানুন মেনে চলতেই হবে। তাই কোন অ্যাক্ট-এ বিয়ে হচ্ছে সেটা জানা খুব জরুরি দরকার। আরেকটা প্রশ্ন যে মুসলিম মেয়ে শরিয়া অনুসারে বিয়ে না করে স্পেশাল marriage act এ করল। তাহলেই কি সমস্যার সমাধান আছে? সেই দম্পতির যদি কন্যা সন্তান হয় তার ধর্ম কি হবে? অবশ্যই পিতার ধর্ম। যখনই সেই কন্যার ধর্ম পিতার ধর্ম ইসলাম হচ্ছে, সাথে সাথে তার সমস্ত সিভিল অধিকার সমাপ্ত। সেই অধিকার কিভাবে প্রটেক্ট হবে?